ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা রূপে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল খুবই বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ১৮৭৫ সালে ৩১শে অক্টোবর গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটেন থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে আমেদাবাদে ব্যারিস্টারি পেশায় যুক্ত হন। এই পেশায় তিনি সুনাম অর্জন করেন। কিন্তু মন পড়ে থাকে দেশসেবায়। সে সময় ভারতের সর্বত্র গান্ধীজীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন চলছিল। আইন ব্যবসা ত্যাগ করে তিনি গান্ধীজীর আহ্বানে কংগ্রেসে যোগদান করেন।
আমেদাবাদের মিল শ্রমিকদের ধর্মঘটে মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার প্যাটেল ছিলেন সংগ্রামের অধিনায়ক। অহিংসা ও সংযমের প্রভাবে শ্রমিকদের জয় হয়। এই আন্দোলনে সর্দার প্যাটেলের অসাধারণ দক্ষতা দেখান।
১৯৩১ সালে ক রাচীতে ক ং গ্রেসের অধিবেশনে সর্দার প্যাটেল সভাপতি হন। তিনি গান্ধীজীর ডান্ডি অভিযানের পূর্বে গ্রেপ্তার হন। সর্দার প্যাটেলের প্রচেষ্টায় ভারতের দ্বিতীয় বারের নৌবিদ্রহ তুলে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে অন্তর্বতী সরকার প্রতিষ্টিত হলে সেখানে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন ভারতের ইনি উপ প্রধানমন্ত্রী ওস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব পালন করেন। দৃঢ়চেতা ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী প্যাটেলকে লৌহমানব বলা হত।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৪ সাল থেকে ৩১শে অক্টোবরকে ভারতের রাষ্ট্রীয় একতা দিবস বা জাতীয় ঐক্য দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল প্রাক-স্বাধীন দেশের 562টি রাজ্যকে ভারতের প্রজাতন্ত্র গড়ে তোলার জন্য একত্রিত করার কৃতিত্ব পান। ১৯৫০ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুম্বাইতে সৰ্দার বল্লভভাই পটেল পরলোকগমন করেন।
২০১৮ সালে সৰ্দার বল্লভভাই পটেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ভারত সরকার ঐক্যের মূর্তি নামে তাঁর একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য ১৮২ মিটার লম্বা মূর্তি নির্মান করা হয়। এটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের সাদু বেট আইল্যান্ডে নর্মদা নদীর পাশে অবস্থিত ভাস্কর্যটি ২০ হাজার বর্গ মিটারেও বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং একটি কৃত্রিম হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত।