31 January 2019

আজ ৩১শে জানুয়ারী, শিবনাথ শাস্ত্রীর ১৭১তম জন্মবার্ষিকী। চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজ-সংস্কারক, পন্ডিত এবং ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক হিসেবে তিনি ছিলেন সমধিক পরিচিত।


আজ ৩১শে জানুয়ারী, শিবনাথ শাস্ত্রীর ১৭১তম জন্মবার্ষিকী। চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজ-সংস্কারক, পন্ডিত এবং ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক হিসেবে তিনি ছিলেন সমধিক পরিচিত। আসুন আজকের দিনে ওঁনার সম্বন্ধে কিছু তথ্য জেনে নি।

সমাজ উন্নয়নের ধারায় তাঁর অবদান আজো গভীয় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ এবং উজ্জ্বল আলোকিত মানুষ শিবনাথ শাস্ত্রী। ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে জানুয়ারি দক্ষিণ চবিবশ পরগনার চাংড়িপোতা গ্রামে (বর্তমানে সুভাষগ্রাম নামে পরিচিত) মামার বাড়ীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হরানন্দ ভট্টাচার্য আর মাতা কামিনী ভট্টাচার্য। উনিশ শতকের আরেক আলোকিত মানুষ, বিশিষ্ট সমাজ-সংস্কারক, সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ছিলেন তাঁর মামা। শৈশব-কৈশোরে মামার বাড়ীতেই থাকতেন শিবনাথ এবং মামার আদর্শেই তিনি বড় হতে থাকেন। মামা দ্বারকানাথ শিবনাথকে খুব ভালোবাসতেন এবং আপন আদর্শে তাঁকে বড় করে তুলতে থাকেন।শৈশব- কৈশোরেই নানা বিষয়ে তিনি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। অন্য বালকদের মতো খেলাধুলায় তেমন মন ছিল না শিবনাথের, বরং মামার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থপাঠে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।

শিবনাথ শাস্ত্রীর পৈতৃক নিবাস ছিল চবিবশ পরগনার মজিলপুর গ্রামে। মজিলপুর পাঠশালায় তাঁর বাল্যশিক্ষা আরম্ভ হলেও তিনি সেখানে বেশিদিন পড়ালেখা করেননি। মামাবাড়ির প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল তীব্র। এ-কারণে মামা দ্বারকানাথের তত্ত্বাবধানেই
শেষ হয় তাঁর বাল্যের পাঠ। অতঃপর মামার ইচ্ছানুসারে শিবনাথ ভর্তি হলেন সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে। কলেজিয়েট স্কুলের পাঠ শেষ হলে শিবনাথ ভর্তি হন কলকাতার বিখ্যাত সংস্কৃত কলেজে। সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৭২ সালে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে তিনি এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পরীক্ষায় ভালো ফল লাভ করায় তিনি অর্জন করেন ‘শাস্ত্রী’ উপাধি। অতঃপর পারিবারিক পদবি ভট্টাচার্যের পরিবর্তে তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ‘শাস্ত্রী’ উপাধি এবং তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন শিবনাথ শাস্ত্রী নামে।

উনিশ শতকের মধ্যপাদে কলকাতা শহরে ব্রাহ্মধর্ম ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়। সে-সময়ে শিক্ষিত যুবকদের পক্ষে ব্রাহ্মধর্মের প্রভাব এড়ানো সম্ভব ছিল না। শিবনাথও ব্রাহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁর বাবা হরানন্দ ছিলেন রক্ষণশীল গোঁড়া ব্রাহ্মণ। কাজেই ছেলের ব্রাহ্মধর্মপ্রীতি তিনি ভালো চোখে দেখলেন না। সে সময়টায় ছিল ব্রাহ্মধর্মের জোয়ার। ব্রাহ্মধর্মের প্রভাব এড়ানো শিক্ষিত যুবকদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। শিবনাথও ছাত্রজীবনে ব্রাহ্মসমাজ ও ব্রাহ্ম- আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়লেন। ১৮৬৯ সালের ২২ আগস্ট শিবনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন। উপবীত ও মূর্তিপূজা ত্যাগ করেন শিবনাথ, ছেদ করেন পরিবারের সঙ্গে সকল সম্পর্ক। ক্রমে শিবনাথ ব্রাহ্মসমাজের নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হন। ইতোমধ্যে ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্ম-আন্দোলনের নেতা কেশবচন্দ্র সেন  প্রতিষ্ঠা করেন Indian Reforms Association। এ সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল মদ্যপান নিবারণ, শিক্ষা প্রসার, সুলভ সাহিত্য ও কারিগরি
জ্ঞানের প্রচার, নারীশিক্ষা তথা নারীমুক্তি। এসব আদর্শের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে শিবনাথ যোগ দেন Indian Reforms Association-এ। শিবনাথ কেশবচন্দ্রের প্রধান সহযোগী হিসেবে এসময় সমাজ সংস্কারমূলক অনেক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নারীশিক্ষার পক্ষে তিনি গ্রহণ করেন দৃঢ় অবস্থান, বিধবাদের বিয়ের পক্ষে তিনি উচ্চারণ করেন জোরালো বক্তব্য। কেশবচন্দ্রের অনুপ্রেরণায় এসময় শিবনাথ মদ্যপান নিবারণ এবং শিক্ষা- সাহিত্য-কারিগরি বিদ্যা প্রচারে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। সমাজে মদ্যপানের ভয়াবহতা দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন। তরুণ সমাজকে মদ্যপানের ছোবল থেকে রক্ষা করার মানসে তিনি প্রকাশ করেন মদ না গরল শীর্ষক পত্রিকা।
শিবনাথ শাস্ত্রী, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু প্রমুখের উদ্যোগে ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় Indian Association’। এই সংস্থাই হলো ভারতীয় রাজনীতির প্রথম সংঘবদ্ধ প্রয়াস। এই সংস্থার অনুপ্রেরণাতেই ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। দেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় ১৮৭৭ সালে শিবনাথ শাস্ত্রী গঠন করেন ‘গুপ্ত বৈপ্লবিক সমিতি’। এই সংস্থার প্রধান কর্মসূচি ছিল – জাতিভেদ অস্বীকার, সরকারি চাকরি প্রত্যাখ্যান, সমাজে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা, অশ্বারোহণ ও বন্দুক চালনা শিক্ষা, জাতীয়তামূলক ও সমাজ সংস্কারমূলক শিক্ষা এবং পূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা। এসব উদ্দেশ্য থেকেই শিবনাথ শাস্ত্রীর রাজনৈতিক চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়।

শিবনাথ শাস্ত্রী বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৮৭৪ সালে শিবনাথ শাস্ত্রী দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরস্থ সাউথ সুবার্বন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন। দুবছর পর সাউথ সুবার্বন স্কুল ছেড়ে তিনি যোগ দেন হেয়ার স্কুলে, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক রূপে। এ সময় মামা দ্বারকানাথ শিবনাথ শাস্ত্রীর ওপর হরিনাভী স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। শিক্ষা ক্ষেত্রের সকল দায়িত্বই তিনি পরম নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেন। তাঁর দক্ষ পরিচালনায় উল্লিখিত স্কুলগুলোতে পঠন-পাঠনে ইতিবাচক নানা পরিবর্তন সূচিত হয়। রাজনৈতিক কারণে ১৮৭৮ সালে হেয়ার স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি থেকে তিনি স্বেচ্ছায় ইস্তফা গ্রহণ করেন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর বর্ণাঢ্য ও উজ্জ্বল কর্মজীবনের এক গৌরবজনক অধ্যায় তাঁর সাংবাদিক-জীবন। মামা দ্বারকানাথ- প্রতিষ্ঠিত সোমপ্রকাশ পত্রিকার সঙ্গে তিনি নানাভাবে জড়িত ছিলেন। দ্বারকানাথের ব্যস্ততার কারণে দুবছর শিবনাথ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সোমপ্রকাশ পত্রিকা। বস্ত্তত, দ্বারকানাথই ছিলেন শিবনাথের সাংবাদিক জীবনের প্রধান অনুপ্রেরণা। ১৮৮৩ সালে শিবনাথ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ থেকে সখা নামে ভারতের প্রথম কিশোর মাসিক প্রকাশিত হয়। অভিন্ন সময়ে তত্ত্বকৌমুদী (১৮৮২) এবং ইন্ডিয়ান মেসেজ (১৮৮৩) নামে দুটি ক্ষণস্থায়ী পত্রিকা সম্পাদনা করেন শিবনাথ শাস্ত্রী। ১৮৯৫ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় বিখ্যাত কিশোর মাসিক মুকুল। বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্য বিকাশে এই পত্রিকা পালন করে ঐতিহাসিক ভূমিকা। উল্লিখিত
পত্রিকাসমূহ সম্পাদনায় শিবনাথ শাস্ত্রী বিশেষ দক্ষতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন।

রামমোহন রায় প্রবর্তিত ব্রাহ্মধর্মের দুই প্রধান কান্ডারি ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর  এবং কেশবচন্দ্র সেন। প্রথম দিকে দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্রের মধ্যে ছির দারুণ সখ্য। ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা সভায় তাঁরা বসতেন পাশাপাশি। কিন্তু ১৮৭০-এর দশকে তাঁদের দুজনের সম্পর্কে চিড় ধরে। ব্রাহ্ম হলেও দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন অনেকটা প্রাচীনপন্থী। হিন্দুধর্মের আচার-অনুষ্ঠান অনেকটাই পালন করেন তিনি, ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেন হিন্দুমতে, ব্রাহ্মণদের উপবীত ধারণে অনুমতি দেন। পক্ষান্তরে কেশবচন্দ্র অনেক বেশি আধুনিক ও বিপ্লবী। ব্রাহ্মধর্মকে তিনি হিন্দুধর্ম থেকে একেবারে আলাদা করতে চান। তাঁর মতে, ব্রাহ্মরা অ-হিন্দু। হিন্দুধর্মের সকল প্রচার কুসংস্কারমূলক আচার- অনুষ্ঠান বর্জনের তিনি পক্ষপাতী। ক্রমে এই দুই ব্রাহ্ম-নেতার বিরোধ ধারণ করে চরম রূপ। এসময় ব্রাহ্ম ধর্মসভায় নারীদের প্রকাশ্য স্থানে উপাসনা করার পক্ষে ও বিপক্ষে মত প্রকাশে দেখা দেয় নতুন বিতর্ক। এ বিতর্কের সূত্র ধরেই ১৮৭৮ সালে ভেঙে যায় ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ। এ সময় শিবনাথ শাস্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’ (১৮৭৮)। অন্যদিকে কেশবচন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন ‘নববিধান ব্রাহ্মসমাজ’ (১৮৭৮)। দেবেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ছিল ‘আদি ব্রাহ্মসমাজ’। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শিবনাথ শাস্ত্রী এসময় পালন করেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। তাঁর নেতৃত্বগুণে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ দ্রুত কলকাতার সমাজজীবনে প্রভাব বিস্তারে সমর্থ হয়। ধর্ম প্রচার ছাড়াও সমাজ সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার ছিল সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের প্রধান কর্মসূচি। সমগ্র ভারতবর্ষ ভ্রমণ করে শিবনাথ শাস্ত্রী সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের আদর্শ প্রচার করেন।

ইতোপূর্বেই শিক্ষাব্রতী হিসেবে শিবনাথ শাস্ত্রীর খানিকটা পরিচয় আমরা জেনেছি। এ প্রসঙ্গে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সিটি স্কুলের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়। শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুল পরবর্তিকালে  সিটি কলেজে রূপান্তরিত হয়। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে উনিশ-বিশ শতকের বহু আলোকিত মানুষ বিদ্যা লাভ করেন। সিটি স্কুল প্রতিষ্ঠায় শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু আনন্দমোহন বসু এবং সুরেন্দ্রনাথ গোস্বামীর সহযোগ লাভ করেন। অভিন্ন উদ্দেশ্যে এঁরা প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্টুডেন্ট সোসাইটি’ (১৮৭৯)। বস্ত্তত এটিই
হলো ভারতবর্ষের প্রথম ছাত্রসংগঠন।

১৮৮৮ সালে শিবনাথ শাস্ত্রী ইংল্যান্ড গমন করেন। ভারতবর্ষ ও ইংল্যান্ডের সমাজকে তুলনামূলক দৃষ্টিতে বিচার করার মানসেই তাঁর বিলেত গমন। ছয় মাস তিনি বিলেতে প্রবাসজীবন যাপন করেন। এ সময় তিনি ইংল্যান্ডের নানা স্থানে ভারতবর্ষের সমাজ ও সংস্কৃতি, বিশেষত ব্রাহ্মধর্ম বিষয়ে বহু বক্তৃতা দেন এবং অর্জন করেন প্রচুর প্রশংসা। ইংল্যান্ড ভ্রমণ শিবনাথ শাস্ত্রীর মনে গভীর রেখাপাত করে। ইংরেজদের মধ্যে তিনি লক্ষ করলেন বহু সদ্গুণ। দেশে প্রত্যাবর্তন করে ওই সদ্গুণের চর্চা করার মানসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাধনাশ্রম’। জনগণের মধ্যে উচ্চ আদর্শ ও সদ্গুণ প্রচারে সাধনাশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলা সাহিত্যের একজন খ্যাতিমান লেখক হিসেবে শিবনাথ শাস্ত্রীর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। সমাজ সংস্কারমূলক বিচিত্র কাজে ব্যস্ত থাকলেও তিনি
সাহিত্যসৃজনেও ছিলেন সমান উৎসাহী ও আন্তরিক। তাঁর লেখা কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ইতিহাস, আত্মজীবনী বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। শিবনাথ শাস্ত্রী যেসব কাব্য প্রকাশ করেন, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য – নির্বাসিতের বিলাপ , পুষ্পমালা, হিমাদ্রি কুসুম, পুষ্পাঞ্জলি, ছায়াময়ী,পরিণয় ইত্যাদি। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা শিবনাথ শাস্ত্রীর কবিতার বিশিষ্ট লক্ষণ। সহজ-সরল হৃদয়বাণী গুণে শিবনাথের কবিতা সমকালে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিল। বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের ধারায় শিবনাথ শাস্ত্রীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।একটি বিশিষ্ট আদর্শ তাঁর ঔপন্যাসিক চেতনায় সর্বদা থেকেছে ক্রিয়াশীল। নারীজীবনকে তিনি সমাজে-সংসারে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন স্বমহিমায়। প্রাকৃতিক লৈঙ্গিক পরিচয়ে না দেখে সামাজিক লৈঙ্গিক দৃষ্টিকোণে নারীকে বিবেচনার প্রাথমিক আভাস শিবনাথ শাস্ত্রীর উপন্যাসে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। শিবনাথ শাস্ত্রীর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে আছে মেজবৌ, নয়নতারা, যুগান্তর, বিধবার ছেলে ইত্যাদি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তাঁর যুগান্তর উপন্যাস থেকেই উত্তরকালীন বিখ্যাত সংবাদপত্র যুগান্তরের নামকরণ করা হয়েছিল। উপন্যাসে ভাষা-ব্যবহারে শিবনাথ শাস্ত্রী ছিলেন অতিসতর্ক। কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কথ্যভাষা ব্যবহার তাঁর উপন্যাসের একটি বিশিষ্ট লক্ষণ। বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের বিকাশের ধারায় শিবনাথ শাস্ত্রীর অবদান যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এখনো মূল্যায়িত হয়নি।
প্রাবন্ধিক হিসেবেও শিবনাথ শাস্ত্রী রেখে গেছেন তাঁর সৃষ্টিক্ষম প্রজ্ঞার স্বাক্ষর। সমাজ সম্পর্কে প্রগতিশীল দৃষ্টিই তাঁর প্রবন্ধ- সাহিত্যের উপজীব্য বিষয়। হিন্দু ধর্মের নানামাত্রিক কুসংস্কার থেকে তিনি সমাজকে মুক্ত করার মানসে একের পর এক প্রবন্ধ লিখেছেন। শিবনাথ শাস্ত্রীর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থগুলো হচ্ছে – এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ?, খৃষ্টধর্ম, জাতিভেদ, বক্তৃতা স্তবক , মাঘোৎসব উপদেশ, মাঘোৎসব বক্তৃতা, প্রবন্ধাঞ্জলি, ধর্মজীবন  ইত্যাদি। ব্রাহ্মধর্মের তিন প্রধান তাত্ত্বিকের জীবনী লিখেছেন শিবনাথ শাস্ত্রী। তাঁর জীবনী
গ্রন্থগুলো হচ্ছে রামমোহন রায়, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ এবং ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র। ১৯১৮ সালে প্রকাশিত হয় শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মজীবনী আত্মচরিত। তাঁর আত্মচরিত পাঠ করলে গোটা উনিশ শতক পাঠকের চোখে ভেসে উঠবে। ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় শিবনাথ শাস্ত্রীর কালজয়ী গ্রন্থ রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ, যা ইতিহাসের এক উল্লেখযোগ্য দলিল হিসেবে উত্তরকালে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ইংরেজি ভাষাতেও শিবনাথ শাস্ত্রী কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর দুটি উল্লেখযোগ্য ইংরেজি গ্রন্থ – History of the Brahma Samaj এবং MenI have seen।

১৯১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শিবনাথ শাস্ত্রী কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

29 January 2019

জানেন কি মহাত্মা গান্ধী ১২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে চেয়েছিলেন? এটাও জেনে নিন ওঁনার প্রাণনাশের কতবার চেস্টা করা হয়েছিল।

মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর আগে পাঁচবার ওঁনার প্রাণনাশের চেস্টা করা হয়েছিল। কি ভাবে তিনি বেঁচে যান সে কথা জেনে নিন -

১) ২৫শে জুন, ১৯৩৪, গান্ধীজীর পুনে কর্পোরেশন অডিটরিয়ামে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। একই রকম দেখতে দুটি গাড়ী নিয়ে গান্ধীজী ও অনান্যরা গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হন। তার মধ্যে একটি গাড়ীতে ছিলেন গান্ধীজী ও তাঁর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধী।  সৌভাগ্যক্রমে তাদের গাড়ীটি রেলের ক্রসিংয়ে আটকে যায়। কিন্তু অন্য গাড়ীটি সময় মত চলছিল।সেটাকে একটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়।

২) এর দশ বছর পরে জুলাই ১৯৪৪ সালে, দ্বিতীয় বার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। আগা খান প্রাসাদ গৃহবন্দী থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গান্ধীজীর ম্যালেরিয়া রোগ ধরা পরে। নিরিবিলিতে বিশ্রাম নেবার জন্য ওঁনাকে পুনের কাছাকাছি এক পাহাড়ী রিসোর্টে পাঠানো হয়। ১৮-২০ জনের একটি দল পুনে থেকে বাস ভাড়া করে সেখানে গিয়ে গান্ধী বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। গান্ধীজী চেয়েছিলেন প্রতিবাদকারী দলের নেতার সাথে আলোচনায় বসতে। দলের নেতা নথুরাম গডসে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। সান্ধ্য প্রার্থনা সভার সময় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। নথুরাম গডসে গান্ধী বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে  হাতে ছুরি নিয়ে গান্ধীজীর দিকে তেরে যায়। সৌভাগ্যক্রমে, মানিশংকর পুরোহিত ও ভিল্লার গুরুজী গডসেকে ধরে আটকায়।

৩) তৃতীয়বার চেস্টা করা হয় ১৯৪৪ সালে। আলী জিন্নার সাথে গান্ধীজীর একটি সভা হবার কথা ছিল যেটা হিন্দু মহাসভা মানতে চায়নি। নথুরাম গডসের দল গান্ধীজীকে নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। গান্ধীজী যাতে সভা করার জন্য বোম্বে থেকে বেড়োতে না পারেন সেজন্য নথুরাম গডসে তার দলবল নিয়ে আশ্রম ঘিরে রাখেন। কিন্তু নথুরাম গডসেকে সেখানকার লোকজন আটক করে এবং জানা যায় সেই সময়েও গডসের কাছে অস্ত্র ছিল।

৪) চতুর্থ চেষ্টাটি ছিল ১৯৪৬ সালের জুন মাসে। যখন গান্ধী স্পেশাল নামে ট্রেনটি পুনে যাওয়ার পথে লাইন চ্যুত হয়ে যায়। কিন্তু ট্রেন চালক দক্ষতার সাথে  ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্বেও ট্রেনটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন এবং যাত্রীরা বেঁচে যায়। এর কিছুদিন পর এক প্রার্থনা সভায় ঘটনাটি স্মরণ করে গান্ধীজী বলেন, ঈশ্বরের কৃপায় আমি মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমি কারোর ক্ষতি করিনি। আমি বুঝতে পারছি না কেন আমার জীবনের ওপর এত আক্রমনের করা হচ্ছে। গতকালের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। আমি এখন মরবো না, আমি ১২৫ বছর বাঁচতে চাই।

৫) পঞ্চমবার প্রাণনাশের চেষ্টাটি হয় ২০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালে। কিছু সমস্যার কারণে গান্ধীজীর সভা শুরু করতে দেরী হয়। সেই দিন মাদনাল পাহাওয়া ও নাথুরাম গডসে সহ অন্যান্যরা মিলে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিড়লা ভবনে সভায় জড় হন। মূল পরিকল্পনাটি ছিল পডিয়ামের কাছাকাছি একটি বোমা নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার পর গান্ধীজীকে গুলি করে হত্যা করা। কিন্তু উপস্থিত কয়েকজন তাদের সন্দেহ করায় পরিকল্পনাটি সফল হয়নি। তারা একটা ছোট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্যাক্সি করে পালিয়ে যায়। কিন্তু মদনলাল ধরা পড়ে যায় যিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়ে ছিলেন যে সাত সদস্যের দলটি গান্ধীজীকে হত্যা করতে চেয়েছিল।

নাথুরাম গদসে তার গ্রামের বাড়িতে লুকিয়ে থাকার পর স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ও এগারোটি বুলেট কিনে ২৯শে জানুয়ারি দিল্লী পৌঁছায় এবং ৩০শে জানুয়ারী ১৯৪৮ সালে গান্ধীজীকে হত্যা করে।



28 January 2019

আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায়ের ১৫৩ তম জন্মবার্ষিকী। আসুন আজকের দিনে ওঁনাকে স্মরণ করি-

আজ ২৮শে জানুয়ারী ২০১৯ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায়ের ১৫৩ তম জন্মবার্ষিকী। আসুন আজকের দিনে ওঁনাকে স্মরণ করি-

১) লালা লাজপত রায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ২৮শে জানুয়ারি, ১৮৬৫ সালে একটি শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ওঁনার পিতা মুন্সি রাধা কৃষ্ণ আজাদ ছিলেন ফার্সী ও উর্দু সাহিত্যের একজন মহান পণ্ডিত। তার মা গুলব দেবী ছিলেন খুবই ধার্মিক প্রকৃতির মহিলা।

২) তিনি এক মহান ব্যক্তিত্যের মানুষ ছিলেন। ১৮৮৬ সালে, তাঁর পরিবার হিশারে স্থানান্তরিত হলে লালা লাজপত রায় সেখানে ওকালতি ব্যবসা শুরু করেন। সেখানেই তিনি জাতীয়তাবাদী দিনানন্দ অ্যাংলো-বৈদিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতীর এর অনুগামী হন।

৩) লালা লাজপত রায়ের উদ্দোগে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮৯৫ সালে প্রতিস্থাতা লাভ করে। তাছারাও  উনি লক্ষী বিমা কোম্পানী স্থাপন করেছিলেন।

৪) গান্ধী ও নেহেরুর আগে লালা লাজপত রায়ই জাতীয় কংগ্রেসের ১৯০০ সালের সেশনে ভারতীয়দের  আত্মনির্ভতার ওপর জোর দিতে বলেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী, অরবিন্দ ঘোষ, বাল গঙ্গাধর তিলক, বিপিন চন্দ্র পাল এবং অন্যান্য  স্বদেশী আন্দোলনের স্থপতিদের মধ্যে একজন ছিলেন। বাল গঙ্গাধর তিলক ও বিপিন চন্দ্র পালের সহিত তিনি লাল-বাল-পাল নামেই বিখ্যাত ছিলেন। এই তিন নেতাই ভারতে সর্বপ্রথম ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার দাবী করেন এবং পরবর্তি সময়ে সমগ্র ভারতবাসী এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে।  ওঁনার সন্মানে ভারতে একটি ডাকটিকিটও প্রকাশ করা হয়।

৫) লালা লাজপত রায় উচ্চতর বিদ্যার্জনের জন্য ১৯০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং বিদ্যার্জন শেষ করে দেশে ফিরে আসার পর ১৯২০ সালে কলকাতায় কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এই অধিবেশনগুলিতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিপ্লবী ভারতীয়রা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত নিত।

৬) লালা লাজপত রায় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন এবং রাওলাট আইনের বিরোধিতা শুরু করেন। ব্রিটিশরা রাওলাট আইন তৈরী করেছিল যাতে যারা প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের আঘাত করার হুমকি দেবে সে সব ভারতীয়কে জেলে পুরতে পারে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করার সাহস দেখানোর জন্য লালা লাজপত রায়কে পাঞ্জাবের কেসারি (পাঞ্জাবের সিংহ) শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল।

৭) তিনি একদিকে যেমন ছিলেন বিপ্লবী ও নেতা তেমনই তিনি ছিলেন একজন সুপরিচিত লেখক।  History of the Arya Samaj, England's Debt to India, The Problems Of National Education In India, Swaraj and Social Change, The United States of America, A Hindu's impressions and a study এরকমই বেশ কিছু বই তিনি লিখেছেন। তিনি হিন্দি ভাষায়  শিবাজী ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনী রচনা করেন এবং পাঞ্জাবে পাঞ্জাবি ভাষাকে সরিয়ে হিন্দি ভাষা প্রচলন করার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেন।

৮) ১৯২৮ সালে লাহোরে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ভারতে সাংবিধানিক সংস্কারের সুপারিশের জন্য সাইমন কমিশনকে ভারতে  পাঠানো হয়েছিল। সাইমন কমিশনের আগমনের প্রতিবাদে লালা লাজপত রায় একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন। তখনকার পুলিশ সুপার স্কট তাদের আটকাতে লাঠি চার্জের আদেশ দেন। পুলিশ এই সময় লাজপত রায়ের বুকের উপর আঘাত করে। দুর্ভাগ্যবশত, এই আঘাতের ফলে রায়ের মৃত্যু হয়। এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভগত সিং ও তার সহযোগীরা স্কটকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্কটের পরিবর্তে, তারা ভুল করে সহকারী পুলিশ সুপার সান্ডারকে হত্যা করে। রায়ের সম্মানে ১৭ই নভেম্বর তার মৃত্যু বার্ষিকীতে শহীদ দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়।

৯) ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তার সাহসীকতার জন্য লালা লাজপত রায়কে 'ভারতের চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের স্তম্ভ' হিসাবে বিচার করা হয়। তাঁর সম্মানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল খোলা হয়েছে।

27 January 2019

জেনে নিন মেজর খুশবু কনওয়ার কি ইতিহাস তৈরী করলেন।

এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথমবারের মতো নারী ক্ষমতার ঐতিহাসিক প্রদর্শনী হল। মেজর খুশবু কনওয়ার একজন মহিলা যিনি আসাম রাইফেলের কনটিনজেন্টের লিডার ছিলেন। তিনি দেশের প্রাচীনতম আধা সামরিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন।

রাজস্থানের এই ৩০ বছর বয়সী মেজর কনওয়ার  নিজেকে বাস কন্ডাক্টরের মেয়ে বলে পরিচয় দিতে দ্বিধা বোধ করেন না। তিনি বলেন "যদি আমি এটা করে দেখাতে পারি তবে অন্য মেয়েরাও তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।"

প্রথমবারের মতো, ভারতের সর্ববৃহৎ আধা সামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলসের এক নারী-পুরুষ দল এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশ নেয়। আসাম রাইফেলস মহিলা দলের  নেতৃত্ব দেন মেজর খুশবু কনওয়ার। তিনি বলেন, ২৬শে জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সামনে  রাজধানীর রাজপথে হাঁটা গর্ব ও সম্মানের ব্যাপার। মেজর খুশবু কনওয়ার ২০১২ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন এএসসি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে আসাম রাইফেলসের ডেপুটেশনে আছেন।  তিনি মণিপুরে পোস্টিং এর সময় উত্তর-পূর্ব জঙ্গি দমনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরোও বলেন "তরুণ প্রজন্মের কাছে আমি বলতে চাই, আমি একজন বাস কন্ডাক্টারের মেয়ে, স্কলারশিপ নিয়ে আমার পড়াশোনা এবং সরকারি কলেজে এমবিএ করেছি। যদি আমি রাজপথে মহিলা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারি তবে আপনারাও কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং শক্তির সাহায্যে আপনার স্বপ্নকে সত্য করে তুলতে পারবেন।"

জানলে অবাক হবেন মহারাষ্ট্রের আলিবাগের সমুদ্র সৈকতে ১০০ কোটি টাকার মূল্যের কার বিলাস বহুল বাংলো ভাঙা হল-

১৩ হাজার কোটি টাকার  ঋণ খেলাপি ব্যবসায়ী নীরব মোদীর বিলাস বহুল বাংলোটি মহারাষ্ট্রের আলিবাগের সমুদ্রের একেবারে সামনে ছিল। সেটাই  ভাঙা পড়ল।  এই বাংলোটি ছিল বেআইনি।

 ৩৩ হাজার বর্গ ফুটের এই ইমারতে এক সময় একাধিক হাই প্রোফাইল পার্টি  হয়েছিল কিন্তু এবার সেটিকে ভেঙে দিল প্রশাসন। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি বাড়িটি  কোস্টাল রেগুলেশন জোন ( সিআরজেড) মেনে তৈরি হয়নি। স্থানীয় কালেক্টর সূর্যবংশী জানিয়েছেন বাড়িটি তৈরির সময় সিআরজেড-এর পাশাপাশি সরকারি নিয়মের পালন করা হয়নি।

পাঞ্জাব ন্যাশনালে ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার কোটি টাকা  ঋণ বাকি রাখার  অভিযোগ আছে  নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। দু'জনেই দেশের বাইরে। 

26 January 2019


আজ শুক্রবার, ২৬শে জানুয়ারী ভারতের সাইবার পুলিশ  ভারতের এক জব পোর্টালের সিইও অজয় কোল্লা সহ ১৩ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এই জব পোর্টাল ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের  এক লাখ চাকরি আবেদনকারীর প্রায় ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। হায়দ্রাবাদের এই পোর্টাল টির নাম wishdomjob.com.

এদের প্রধান শিকার  ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, কাতার, নেদারল্যান্ডস, জর্ডান, লেবানন, যুক্তরাজ্য, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং মালয়েশিয়ার চাকরির আবেদনকারী। হায়দ্রাবাদ পুলিশ জানায় প্রায় ২.৮৫ কোটি চাকুরী প্রার্থী এই পোর্টালের সাথে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই পোর্টালটি অপারেট করা হত হাইটেক সিটির সাইবার টাওয়ার থেকে।

এই কোম্পানিটি আবেদনকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে রিসিউম তৈরী করে সেটা অনান্য গ্লোবাল কোম্পানিতে পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করে দিত। এই কাজগুলি তাদের অফিস থেকেই করা হত। গ্লোবাল কোম্পানিগুলির কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশে তারাই অনলাইনে ইন্টারভিউ নিত।

একজন প্রতারিত চাকরি আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই অভিযোগকারী  পুলিশকে জানায় যে তাকে মধ্যপ্রাচ্যের রাবণ জেনারেল পেট্রোলিয়ামে চাকরি দেওয়ার কথা হয়েছিল। রাবণ পেট্রোলিয়ামের এইচআর ম্যানেজার আঞ্জেলা বোস হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে একজন মহিলা ফোনে তাকে ৪০ মিনিট ইন্টারভিউ নেয়। অভিযোগকারীর কাছ থেকে পোর্টালটি রিসিউম ফরোয়ার্ড  করার জন্য ১৫০ ডলার নেয়।  তাছারও ইন্টারভিউয়ের পর রাবণ পেট্রোলিয়ামের জেসি নামে একজন ফোন করে তার কাছ থেকে ৫২৫ ডলার আদায় করে। এরপরে তিনি উইজডম আইটি সার্ভিস অফিস থেকে কোনো ফোন পান নি। তিনি ২১শে জানুয়ারি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তে করে দেখা যায় কনজিউমার সেলস বিভাগের সেলস এক্সিকিউটিভ নিখিতা জৈন নিজেকে অ্যাঞ্জেলা হিসাবে পরিচয় দিয়ে ইন্টারভিউ নেয়। জেসির নাম করে ফোনে কথা বলেছিলেন তাদের সেলস এক্সিকিউটভ মাধুরী ভিপুরি। এই দুজনকেও  গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০১০ সালে কোম্পানিটি শুরু হয় এবং পোর্টালটি ভারতের ৬৯ হাজার ৬২৬ জন আবেদনকারীর কাছ থেকে ২৮ কোটি টাকা  এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের ৩৫ হাজার চাকরির সন্ধানকারীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কোম্পানির ২৪০ জন কর্মচারী  বিশেষ  দক্ষতায়  বিদেশী উচ্চারণের ইংরেজিতে ফোনে কথা বলে আবেদনকারীদের  ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিত।

25 January 2019

কি করে জানবেন আপনার নাম ভোটার তালিকায় উঠেছে কিনা। আসুন জেনে নি।

আজ জাতীয় ভোটার দিবস। আসুন আমরা আলোচনা করি আপনি কি ভাবে দেখবেন আপনার নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা।

সামনে লোকসভা নির্বাচন আসছে এবং ভারতের নাগরিক হিসাবে যদি আপনার ভোট দেবার অধিকার থাকে তাহলে আপনার নাম অবশ্যই নির্বাচনী তালিকায় থাকতে হবে।

ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোট দাতাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে। যে সব ভারতীয় নাগরিকের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশী এবং যাদের ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে তাদের সকলের নাম এই তালিকায় থাকবে। যাদের নাম তলিকায় থাকবে মূলত তারাই আসন্ন নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে পারবেন।

আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড থাকে তবে স্বাভাবিক ভাবে আপনার নাম এই নির্বাচনী তালিকায় থাকবে বা থাকা উচিত। যাইহোক, কখনও কখনও দেখা যায় ভোটার আইডি থাকা সত্ত্বেও ভোটার তালিকায় নাম থাকে না। অনেক সময় ভোটাররা ভোটার বুথে গিয়ে যানতে পারেন তাদের নাম তালিকায় নেই। এরকম পরিস্থিতি এড়াতে আপনি নির্বাচনের আগে জেনে নিতে পারেন আপনার নাম ভোটার তালিকাতে আছে কিনা।

আপনার নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা জানবেন কি করে?

ভারতের নির্বাচন কমিশন আগামী ৩১শে জানুয়ারি তার ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। সুতরাং ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে সব ভারতীয় নাগরিকরা তাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারবে।

এর জন্য আপনাকে ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টালে লগ ইন করতে হবে।

বাম  দিকে আপনি একটি অনুসন্ধান বার দেখতে পাবেন যেখানে আপনি আপনার নাম অনুসন্ধান করতে পারবেন। একবার আপনি এই বারটিতে ক্লিক করলে, এটি আপনাকে নির্বাচনী অনুসন্ধান পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে। যেখানে আপনাকে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, রাজ্য, জেলা, নির্বাচনী এলাকা, লিঙ্গ ইত্যাদি বাধ্যতামূলক বিবরণগুলি পূরণ করতে হবে।

এই ভাবে অনুসন্ধানের পরে, আপনি রোলের উপর আপনার নাম দেখতে সক্ষম হবেন যদি আপনার নাম তাদের তালিকায় থাকে।

যদি নাম দেখতে না পান তবে নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য উদ্দ্যোগ নিতে হবে। বা যদি কোনো ভুল দেখতে পান তবে তা ঠিক করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব অনলাইনেও করা যাবে।

24 January 2019

মুকেশ অম্বানি এবার গুগল, নেটফ্লক্স, স্পটিফি এবং ফেসবুকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে নজর দিয়েছেন-

মুকেশ অম্বানি ভারতে মোবাইল পরিষেবায় আলোড়ন আনার পর এবার  ইন্টারনেট এবং ভিডিও স্ট্রিমিং জায়ান্ট যেমন গুগল, নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম এবং স্পটাইফ এর সাথে লড়াইতে নামতে চাইছেন।

মুকেশ আম্বানির টেলিকমে  জিওর রমরমার ব্যবসার জন্য ভারতের বাকী টেলিকম কোম্পানীগুলি প্রায় গুটিয়ে বসতে চলেছে। বর্তমানে জিওর গ্রাহক বেস প্রায় ২৪ কোটি। এবারে অম্বানির দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনার আরও উচ্চাভিলাষী। এবারে জিওর  প্রতিযোগীতা এয়ারটেল বা ভোডাফোনের সাথে নয়। অম্বানি এবার গুগল, নেটফ্লক্স, স্পটিফি এবং ফেসবুকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে নজর রেখেছেন।

অম্বানি বলেন, পেহলা টিভি, পেহলা ক্যামেরা, পেহলা ইন্টারনেট এবং পেহলা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)  প্রতি মাসে মাত্র ১০০ টাকা খরচ করেই ভারতে পাওয়া যেতে পারে। তিনি আরোও বলেন
ভারতে প্রতিটি ফোন একটি ৪ জি-সক্ষম ফোন হবে এবং প্রতিটি গ্রাহকের ৪ জি সংযোগের অ্যাক্সেস থাকবে।

23 January 2019

আপনি কি জানেন SBI সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে চাকুরির আবেদন নেওয়া হবে? জেনে নিন কখন রেজিস্ট্রেশন শুরু এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে।

ভারতীয় স্টেট ব্যাংক (এসবিআই) সিনিয়র কর্মকর্তাদের পদে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ সাল। প্রার্থীরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট - sbi.co.in পরিদর্শন করে বিশদ বিবরণ জেনে নিতে পারেন।

মোট ৩১ টি পদ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করা হবে। আবেদন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে, প্রার্থীকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে যার ভিত্তিতে মেধার তালিকা তৈরি করা হবে।

প্রার্থীকে ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখের মধ্যে এস বি আই এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। খালি পদের  বিবরণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয়গুলি জেনে নিন।

১) অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু - জানুয়ারী ২২, ২০১৯
২) নিবন্ধন বন্ধ - ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
৩) আবেদনপত্র প্রিন্ট করার শেষ তারিখ - ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
৪) অনলাইন ফি পেমেন্ট - ২২শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯।

কি কি প্রয়োজনীয় নথি লাগবে জেনে নিন-
১) বায়োডাটা (ডক ফরম্যাট)
২) আইডি প্রমাণ (পিডিএফ)
৩) জন্ম তারিখ প্রমাণ (পিডিএফ)
৪) শিক্ষাগত সার্টিফিকেট (পিডিএফ)
৫) অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট (পিডিএফ)
৬) পেমেন্ট রিসিপ্ট
৭) বর্ণের সার্টিফিকেট (এসসি / এসটি / ওবিসি প্রার্থী)
৮) পিডব্লিউডি সার্টিফিকেট
৯) ফরম -১৬ / আইটি রিটার্ন ৩১.০৩.২০১৮
১০) বর্তমান বেতন স্লিপ ইত্যাদি।
১১) সাম্প্রতিক আলোকচিত্র এবং স্বাক্ষর

কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন-
ধাপ ১: সরকারী ওয়েবসাইট, sbi.co.in দেখুন।
ধাপ ২: হোমপেজে, 'ক্যারিয়ার' ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: নতুন পৃষ্ঠায় সর্বশেষ ঘোষণা বিভাগের অধীনে, 'চুক্তিবদ্ধ ভিত্তিতে সিনিয়র নির্বাহী নিয়োগ (ক্রেডিট পর্যালোচনা)' সন্ধান করুন।
ধাপ ৪: লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন, 'এখনই প্রয়োগ করুন' লিঙ্কটি।
ধাপ ৬: 'নতুন নিবন্ধন' ক্লিক করুন একটি ব্যবহারকারী আইডি তৈরি করুন।
ধাপ ৬: লগ ইন করতে ব্যবহারকারী আইডি ব্যবহার করুন।
ধাপ ৭: ফর্ম পূরণ করুন, নথি আপলোড করুন।
ধাপ ৮: পেমেন্ট করুন।

21 January 2019

জেনে নিন ঠিক মত আয়কর না দিলে আপনার কি ভোগান্তি হতে পারে-

আপনি কি আপনার আয়কর রিটার্ন  এখনও জমা দেন নি? যদি আপনি আইন অনুযায়ী আয়কর না দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জরিমানা সহ জেল ও হতে পারে।

যদি আপনি আয় গোপন রাখেন এবং আয়কর জমা না দেন তাহলে আপনার জরিমানা সহ ৬ মাস থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

আয়কর ফাঁকি ঠেকাতে এবং আয়কর সংগ্রহ বাড়াতে আয়কর দপ্তর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা কালো টাকা এবং বড় লেনদেনের ওপর কড়া নজর রাখছে। আয়কর দপ্তর ইতিমধ্যেই আয়কর  ডিফল্টারদের নোটিশ পাঠাতে শুরু করেছে।

আপনি যদি  জরিমানা এবং জেল খাটা এড়াতে চান তাহলে আপনি নিচের বিষয়গুলির জেনে রাখুন।

১)  যদি আপনি সেল্ফ এসেসমেন্ট এ এখনও আয়কর জমা দিয়ে না থাকেন তাহলে আপনি ডিফল্টার হিসাবে গণ্য হবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বকেয়া আয়করের সমান টাকা জরিমানা হিসাবে দিতে হবে।

২)  যদি আপনি ডিমান্ড নোটিশ পেয়ে থাকেন এবং তা ৩০ দিনের মধ্যে পেমেন্ট না করে থাকেন তাহলে আপনি ডিফল্টার হিসাবে গণ্য হবেন। এক্ষেত্রেও আপনাকে বকেয়া ডিমান্ডের সমান টাকা জরিমানা হিসাবে দিতে হবে।

৩)  যদি আপনি আয়কর রিটার্নে ভুল তথ্য দেন সেক্ষেত্রে আপনার জরিমানা বকেয়া আয়করের ২০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

তাছারা যদি আপনি নিচের লেনদেন গুলো করে থাকেন তবে জানবেন আয়কর দপ্তর আপনার ওপর নজর রাখছে।

১)  যদি কোনো রকম লেনদেন নগদে ২ লাখ টাকার বেশী করে থাকেন।

২) স্থায়ী সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে যদি আপনি ২০ হাজার টাকার বেশী নগদ লেনদেন করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনার জরিমানা নগদ লেনদেনের   ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

৩)  আপনি যদি আপনার ব্যবসায়িক কোনো লেনদেন নগদে ১০ হাজার টাকার বেশী করে থাকেন।

৪)  যদি আপনি কোনো রেজিস্টার্ড ট্রাস্ট বা রাজনৈতিক দল গুলিকে নগদে ২ হাজার টাকার বেশী দান হিসাবে দিয়ে থাকেন।

৫)  যদি আপনি স্বাস্থ্য বিমার টাকা নগদে পেমেন্ট করে থাকেন।

এসব ক্ষেত্রে আপনাকে নগদের পরিবর্তে চেক, ডিমান্ড ড্রাফট বা ইলেকট্রনিক ব্যাংক পেমেন্ট করতে হবে।

সুতরাং আপনি সচেতন হোন এবং আইন অনুযায়ী সময়মত সঠিক আয়কর জমা করুন। যদি আপনি এখনও আপনার ২০১৮-১৯ সালের আয়কর জমা দিয়ে না থাকেন তাহলে সেটা ৩১শে মার্চ ২০১৯ এর মধ্যে করে ফেলুন এবং শান্তিতে থাকুন।

16 January 2019

জেনে নিন ব্লগ লিখে বিজ্ঞাপন থেকে কি ভাবে উপার্জন করবেন

একদশক আগে পর্যন্তও নিজের লেখা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল বেশ কঠিন, বড় পত্রিকায় ছাপার সুযোগ পান খুবই কমসংখ্যক লেখক, নাহলে ভরসা লিটল ম্যাগাজিন, তাতেও রয়েছে বিক্রির সমস্যা। আর এই লেখা থেকে আয়? সে সুযোগ তো মেলে ভাগ্যবানদের। তবে অবস্থাটা দ্রুতই বদলেছে, ঘরে ঘরে ইন্টারনেট আসার হাত ধরেই এসেছে ব্লগিং। নিজের মতামত, লেখা, ছবি সবকিছুই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সহজ উপায় ব্লগ। নিয়মিত লিখতে লিখতে তৈরি হয়ে যায় পাঠককূলও। আর হ্যাঁ এই ব্লগই হয়ে উঠতে পারে আপনার আয়ের উত্সও।

অনেকেই বলে থাকেন, ভারতে এখনও ব্লগ থেকে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু এই দেশেই এমন ব্লগাররা রয়েছেন যারা তাঁদের ব্লগ থেকেই আয় করছেন লাখ লাখ টাকা।

উপায় আছে হাতের কাছেই। জানতে হবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি, আর তাহলেই আপনার ব্লগটিই হবে আপনার ভবিষ্যতের আয়ের পথ। প্রথম উপায় টি হল ব্লগের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ।

সব থেকে সহজ ও প্রচলিত উপায় এটি। যদি আপনি প্রথমবার আপনার ব্লগ থেকে আয়ের কথা ভাবেন তাহলে বেছে নিন এই উপায়টিই। সারা পৃথিবীতেই ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে তা থেকে আয় করা একটি প্রচলিত উপায় আর আমাদের দেশেও তা সমান ভাবে জনপ্রিয়।

আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করুন, পাঠক যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলেই মিলবে কমিশন।

প্রথমেই বেছে নিন একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। ব্লগার এবং বিজ্ঞাপনদাতা উভয়ের মধ্যেই সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কটি হল গুগলের AdSense। রয়েছে BidVertiser, Infolinks এর মতো অন্য নেটওয়ার্কও।

আপনার পছন্দের নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন প্রকাশক হওয়ার জন্য আবেদন করুন। অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে আপনার ব্যাঙ্ক আকাউন্ট, যেখানে কমিশনের টাকা পাঠানো হবে তার বিবরণও দিতে হবে আবেদনপত্রে, তাই সেই বিবরণ তৈরি রাখুন।

আপনার আবেদন মঞ্জুর হলে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের তরফ থেকে তা জানিয়ে আপনাকে একটি মেল করা হবে।

এরপর আপনাকে পাঠানো হবে বিজ্ঞাপন কোড যা আপনি আপনার ব্লগে প্রকাশ করবেন। আপনি আপনার পছন্দ মতো জায়গায় এটি প্রকাশ করতে পারেন, যেমন আপনি এটিকে লেখার মাঝে বা লেখার পাশের বারে রাখতে পারেন।

আপনি বিজ্ঞাপন কোডটি ঠিক স্থানে রাখার দু’ঘন্টার মধ্যেই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তা আপনার ব্লগে প্রকাশ করা হবে এবং বিজ্ঞাপনটি আপনার ব্লগে দেখাবে।

আপনার কাজ শেষ। এবার আপনার পাঠকরা ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই পয়সা জমা পড়বে আপনার অ্যাকাউন্টে।

প্রতি ক্লিকে ০.০১ থেকে ৫০ ইউএস ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। আপনার ব্লগের বিষয়ের ওপরই নির্ভর করে এই আয়, কারণ ব্লগের বিষয়ের ভিত্তিতেই দেওয়া হয় বিজ্ঞাপন। আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করছে কতজন বিজ্ঞাপনটি ক্লিক করছেন তার ওপর।

14 January 2019

১০০ ফ্রি টিভি চ্যানেলের তালিকা হবে আপনার মতে, বিবৃতি ট্রাই-এর

১৩০ টাকার বেস প্যাকে ১০০ টি ফ্রি চ্যানেল (স্ট্যানডার্ড ডেফিনেশন চ্যানেল) বেছে নেওয়ার পূর্ণ অধিকার থাকবে আপনার হাতে।

গ্রাহক নিজের পছন্দ অনুযায়ী ১০০টি ফ্রি চ্যানেল (স্টান্ডার্ড ডেফিনেশন) বেছে নিতে পারবেন এবং তা ১৩০ টাকার ‘বেস প্যাকে’ই মিলবে। সদ্য এমনটাই জানাল দ্য টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। ট্রাই-এর ১০ জানুয়ারির প্রেস বিবৃতিতে অনুযায়ী, ১৩০ টাকার বেস প্যাকে ১০০ টি ফ্রি চ্যানেল (স্ট্যানডার্ড ডেফিনেশন চ্যানেল) বেছে নেওয়ার পূর্ণ অধিকার থাকবে আপনার হাতে।
ট্রাই-এর নয়া নিয়ম নিয়ে দেশ জুড়ে চর্চা শুরু হতেই বেশ কিছু সম্প্রচারকারী তাদের নেটওয়ার্কের একাধিক চ্যানেল নিয়ে একটি ‘বোকে’ বানিয়ে গ্রাহকদের সামগ্রিক দাম জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এদিনের বিবৃতিতে ট্রাই-এর স্পষ্ট নির্দেশ, আলা-কার্টে অর্থাৎ আলাদা করে চ্যানেল বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। সুতরাং সম্পূর্ণ ‘বোকে’ নয়, একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলকেও বেছে নিতে পারবেন আপনি।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ চ্যানেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত উঠেছিল গ্রাহকদের। তারপরই ট্রাই জানায়, নতুন কাঠামো অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা পছন্দের ও সাধ্যের ভিত্তিতে কেবল বা ডিটিএইচ পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। একইসঙ্গে সকল ডিটিএইচ এবং কেবল সংস্থাকে ১৩০ টাকার বিনিময়ে ১০০টি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল দেখাতে হবে। কিন্তু, এই ১০০টির বাইরে গ্রাহকদের পছন্দের প্রতি চ্যানেলের জন্য দিতে হবে আলাদা টাকা৷
গত মাসের শেষেই পছন্দের চ্যানেল বেছে নেওয়ার সমসসীমা বাড়িয়েছে ট্রাই। ১ ফেব্রুয়ারী থেকে নতুন নিয়ম চালু হবে। সে ক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই গ্রাহকদের চ্যানেল পছন্দ করে পরিষেবা প্রদানকারীকে জানাতে হবে।
ইতিমধ্যে, ডিশ টিভির ওয়েবসাইটের পেজে ট্রাইয়ের নতুন পরিকাঠামো অনুযায়ী চ্যানেল বেছে নেওয়ার পদ্ধতি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, একেকটি চ্যানেলের সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ১৯ টাকা৷ তবে সুখবর, কেবল অপারেটর ও ডিটিএইচ ধার্য দামের ওপর ছাড় দিতে পারে।
চ্যানেল নং ৯৯৯-এ “কনজিউমার ইনফরমেশন চ্যানেল” রাখার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাই। সমস্ত সংস্থাকে এই চ্যানেল সম্প্রচার করতে হবে। এই চ্যানেলে অন্যান্য চ্যানেলের মূল্য-সহ অন্যান্য তথ্য ও প্রেস রিলিজও সম্প্রচারিত হবে।

কমলালেবুর খোসা ফেলে দেন-জেনে নিন এই খোসা আমাদের কি উপকারে আসে-


জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য একটি ফল কমলা। এটি শীত কালে ভালো পাওয়া যায়। এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। কমলালেবু কম-বেশি সবাই খেতে পছন্দ করেন। স্বাস্থ্যের উপকারিতা দিক থেকেও এটি গুণ রয়েছে। এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি। আমরা খাওয়ার সময় কমলালেবুর খোসাটি সমসময়ই ফেলে দেই। কিন্তু এটা কোনো ফেলনা জিনিস নয়। খোসা হলেও এর রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। দেখে নেয়া যাক কমলার খোসা কি কি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যাজমা ও কাশির সমস্যায় :
কমলার খোসার গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে এটি কাজে লাগে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কমলার খোসায় তৈরি চা নিয়মিত পান করুন।
কফ ও পিত্তের সমস্যায়:
কফ ও পিত্ত সমস্যার সমাধানে কমলার খোসা উপকারী। কমলার খোসা পাতলা করে ছিলে গ্রেটারে ঘষে নিন। খোসার কুচিগুলো রঙ চা তৈরির সময়েই ঢেলে দিন। এর সাথে অল্প পরিমাণে আদা দিতে পারেন। এবার জলে ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই চায়ের মতো পান করুন। চাইলে মধুও মেশাতে পারেন।
অ্যাসিডিটি দূর করতে:
কমলার খোসার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে ডি-লিমোনেন নামের একটি উপাদান আছে যা অন্ত্র ও লিভার ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখে। আর এর তেল জলে দু’ফোঁটা মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে।
ওজন কমাতে:
উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা ও ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রবীভূত থাকে যেটি সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের কালো দাগ দূর করার উপায়:
১ টেবিল চামচ টক দই, ১/২ চামচ মধু, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা এক সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে প্যাকটিতে এক চা চামচ অলিভ ওয়েল বা নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে:
২ চা চামচ দই এবং ২ চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়া একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। যেসব স্থানে ব্ল্যাকহেডস হয়েছে সেখানে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সমস্যা কমে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি:
কমলার খোসা বাটা ১ টেবিল চামচ, ১/২ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া, ১/২ টেবিল চামচ মধু এবং ১/২ চা চামচ জয়ফলের গুঁড়া নিয়ে পেস্ট বানানি মুখে লাগান। ২০মিনিট রেখে হালকা ম্যাসাজ করে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরে ময়শ্চারাইজার লাগান।
জানালা এবং ফ্লোর পরিষ্কারক হিসেবে:
একটি গ্লাসের জারে কমলার খোসা রেখে তাতে ভিনেগার ঢালুন। এটিকে ঢেকে কয়েক সপ্তাহ ফ্রিজে রেখে দিন। মাঝে মাঝে এটি নেড়ে দিন। পর বের করে ছেঁকে নিয়ে একচি স্প্রে বোতলে ঢালুন। জানালা ও ফ্লোর পরিষ্কারক হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিদিন একটি করে আমলকি খেলে কি কি উপকার হবে

আমলকি এমন একটি ফল যার মধ্যে রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফল থেকে শুরু করে পাতাও ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ভরপুর আমলকি।

পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও দশ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলা লেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এই আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টির বেশি উপকারিতাঃ
১) আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে না, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
২) চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
৩) আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৪) এক গ্লাস দুধ বা জলের মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন এতে করে আপনার এ্যাসিডিটির সমস্যা কম হবে।
৫) আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে খেলে হজম জাতীয় সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
৬) প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৭) আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ, চোখ চুলকানি বা জল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৮) আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯) এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের/মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।
১০) আমলকীর টক ও তেতো, মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।
১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।