05 September 2019

ড: স র্বপ ল্লী রাধাকৃষ্ণণের ১৩১তম জন্ম বার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ড: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ মাদ্রাজে তিরুতানি শহরে  তেলেগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পরিবারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ছিল না। তিরুতানি শহরেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। তিনি বেলোন কলেজে চার বছর পড়াশুনা করেন।১৯০৪ থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণ মাদ্রাজ ক্রিশ্চান কলেজে পড়াশুনা করে বি, এ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।তাঁকে ড: স্যামুয়েল স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়।

রাধাকৃষ্ণণ পৃথিবির বিভিন্ন দেশে ভাষণ দিয়ে বহু  কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯৫৫ সালে তাঁর 'ডিসকভারি অব ফেথ' গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।পরের বছর 'ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট' প্রকাশ পায়। ১৯৬২ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহন করেন।
মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম,এ পরীক্ষাতে একটি মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করতে হত। রাধাকৃষ্ণণ ওই সময় 'এথিকস্ অব দ্য বেদান্ত' নামে একটি অসাধরণ মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র কুড়ি। ১৯১৯ সালে রাধাকৃষ্ণণ 'লরিয়েট ইন টিচিং' উপাধি লাভ করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপকরূপে শিক্ষক বৃত্তি গ্রহন করেন।

দার্শনিক ও শিক্ষক এবং ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মবার্ষিকী এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর মনমুগ্ধকর অবদানের জন্য প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। তিনি ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ডাঃ রাধাকৃষ্ণানের মতে  শিক্ষকরা আমাদের সমাজের স্তম্ভ, তারা আমাদের বাচ্চাদের জীবনে জ্ঞান, শক্তি দিয়ে সজ্জিত করতে এবং জীবনের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে শিখিয়ে তুলতে এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হতে শেখায়। ভারত সর্বকালের মহান শিক্ষকদের দ্বারা জ্ঞান বিতরণের জন্য স্বর্গ হিসাবে বিবেচিত হত। তদুপরি, তিনি চেয়েছিলেন যে শিক্ষার মান উন্নত করা উচিত এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং তারা যেভাবে পড়িয়েছিলেন তার মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। সব মিলিয়ে তিনি শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চান। তাঁর মতে শিক্ষকের উচিত ছাত্রদের স্নেহ লাভ করা এবং শিক্ষকদের  ছাত্রদের শ্রদ্ধা অর্জন করা উচিত।

আপনি কি জানেন শিক্ষক দিবসের উদ্ভব হ ল কীভাবে ? ডাঃ রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনের শুভ উপলক্ষে তাঁর ছাত্র-বান্ধবীরা তাঁকে তাঁর জন্মদিন উদযাপনের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তবে জবাবে ডঃ রাধাকৃষ্ণান বলেছিলেন যে, “আমার জন্মদিন আলাদাভাবে পালনের পরিবর্তে,  সেপ্টেম্বরেই শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা ভালো হবে। ১৯৬২সাল থেকে, ভারত ৫ইসেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করে আসছে। দিনটি দার্শনিক ও শিক্ষক ডাঃ সর্বপল্লী রাধখৃষ্ণনের জন্মদিন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর মননশীল অবদানের স্মরণে। ১৯৭৫ সালের ১৬ই এপ্রিল তাঁর মহা প্রয়াণ ঘটে।

প্রিয় পাঠক–পাঠিকা ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। যে কোনো বিষয়ে জানা- অজানা তথ্য আমাদের সাথে আপনিও শেয়ার করতে পারেন।১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে ছবি সহ মেল করুন  wonderlandcity.net@gmail.com ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

No comments:

Post a Comment