14 April 2020

আজ ১৪ই এপ্রিল, ২০২০ জ্যুরিস্ট, রাজনৈতিক নেতা, বৌদ্ধ আন্দোলনকারী, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ, ঐতিহাসিক, বাগ্মী, বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ, পণ্ডিত, সম্পাদক, রাষ্ট্রবিপ্লবী ও বৌদ্ধ পুনর্জাগরণবাদী ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ১২৯ তমজন্মবার্ষিকী। তিনি বাবাসাহেব নামেও পরিচিত ছিলেন। বাবা সাহেব ছিলেন ভারতের সংবিধানের খসড়া কার্যনির্বাহক সমিতির সভাপতি ও মুখ্য স্থাপক ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী এবং ভারতের দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ভারতের গরীব মহারাষ্ট্রের রত্ন গিরি জেলার “মহর” পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ১৮৯১সালের ১৪ই এপ্রিল। “মহর” পরিবার তখন  অস্পৃশ্য জাতি হিসেবে গণ্য হত। দরিদ্র পিতা রামজী মালোজী সঙকপল ও মাতাভীম বাঈ এর চতুর্দশতম সন্তান ভীম রাওয়ের বিয়ে হয় ১৪ বছর বয়সে।প্রথম স্ত্রী মারা যাবার প র ১৯৪৮ সালে বিয়ে করেন ডঃ সারদা কবীরকে। আম্বেদকর সারাটা জীবন সামাজিক বৈষম্যতার (Social Discrimination), “চতুর্বর্ণ পদ্ধতি”-হিন্দু সমাজের চারটি বর্ণ এবং ভারতবর্ষের অস্পৃশ্য (Untouchables or Untouchables community) প্রথার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গেছেন। বর্ণ হিন্দু ও অস্পৃশ্যদের মধ্যে সামাজিক অসাম্য দূর করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন "সমাজ সমতা সঙ্গ", এই সঙ্গের মুখপত্রের নাম ছিল সমতা। কোলাবা জেলার ' মহাদেপবতার তালেন' নামে এক সর্বসাধারণের পুকুর থেকে অস্পৃশ্যদের জল নেবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ১৯২৭সালে এক সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন। বর্ণ হিন্দুরা পুকুরটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করে। হাইকোর্টের রায় আম্বেদকরের পক্ষে যায়। এছাড়াও নাসিকের প্রসিদ্ধ কালারাম ম ন্দিরেঅস্পৃশ্যদের প্রবেশের অধিকার অর্জন করান। এরপর ১৯৩৫ সালে তিনি ঘোষণা করেন অস্পৃশ্যরাহিদু ধর্ম পরিত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করবে। কারণ হিন্দু সমাজে কখনোই তারা সমানাধিকার পাবে না। প্রথমে তিনি শিখ ধর্মেরদিকে আকৃষ্ঠ হলেও শিখদের সাথে সম্পর্ক টেকেনি। ১৯৫৬ সালে তিনি নাগপুরে লক্ষ লক্ষ অনুগামীসহ বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং হাজারো অস্পৃশ্যদের থেরবাদী বৌদ্ধ ধর্ম (Theravada Buddhism) স্ফুলিঙ্গের মতো রূপান্তরিত করে সম্মানিত হয়েছিলেন। আম্বেদকরছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি বিদেশে ইকোনোমিকস- এ ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের প্রথম ইকোনোমিক এ পিএইচডি ডিগ্রি, এবং প্রথম দুবার ইকোনোমিক্স এ ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন ভারত বর্ষের প্রথম আইন মন্ত্রী। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় পৃথিবীর ১০০ পন্ডিতের মধ্যে ইনি আছেন। সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে প্রথম এবং সুদু মাত্র ইনিই যে অর্জন করেছে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস থেকে সমস্ত বিজ্ঞান বিষয়ের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি।১৯৯০ সালে মরণোত্তর (Posthumous) “ভারতরত্ন” - ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় উপাধি'তে ভূষিত করা হয়। প্রিয় পাঠক–পাঠিকা ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। যে কোনো বিষয়ে জানা- অজানা তথ্য আমাদের সাথে আপনিও শেয়ার করতে পারেন।১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে ছবি সহ মেল করুন  wonderlandcity.net@gmail.com ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ১২৯ তম জন্মবার্ষীকি - ৬ই ডিসেম্বর ১৯৫৬)

আজ ১৪ই এপ্রিল২০২০,জ্যুরিস্ট, রাজনৈতিক নেতা, বৌদ্ধ আন্দোলনকারী, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ, ঐতিহাসিক, বাগ্মী, বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ, পণ্ডিত, সম্পাদক, রাষ্ট্রবিপ্লবী ও বৌদ্ধ পুনর্জাগরণবাদী ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ১২৯ তমজন্মবার্ষিকী। তিনি বাবাসাহেব নামেও পরিচিত ছিলেন।

বাবা সাহেব ছিলেন  ভারতের সংবিধানের খসড়া কার্যনির্বাহক সমিতির সভাপতি ও মুখ্য স্থাপক। তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী এবং ভারতের দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।

ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ভারতের মহারাষ্ট্রের  রত্নগিরি জেলার “মহর” গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯১সালের ১৪ই এপ্রিল। “মহর” পরিবার তখন  অস্পৃশ্য জাতি হিসেবে গণ্য হত। দরিদ্র পিতা রামজী মালোজী সঙকপল ও মাতাভীম বাঈ এর চতুর্দশতম  সন্তান ভীম রাওয়ের বিয়ে হয় ১৪ বছর বয়সে।প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পর ১৯৪৮ সালে বিয়ে করেন ডঃ সারদা কবীরকে। আম্বেদকর সারাটা জীবন সামাজিক বৈষম্যতার (Social Discrimination), “চতুর্বর্ণ পদ্ধতি”-হিন্দু সমাজের চারটি বর্ণ এবং ভারতবর্ষের অস্পৃশ্য (Untouchables or Untouchables community) প্রথার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গেছেন। বর্ণ হিন্দু ও অস্পৃশ্যদের মধ্যে সামাজিক অসাম্য দূর করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন "সমাজ সমতা সঙ্গ", এই সঙ্গের মুখপত্রের নাম ছিল সমতা।
কোলাবা জেলার ' মহাদেপবতার তালেন' নামে এক সর্বসাধারণের পুকুর থেকে অস্পৃশ্যদের জল নেবার অধিকার প্রতিষ্ঠা  করতে ১৯২৭সালে এক সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন। বর্ণ হিন্দুরা পুকুরটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করে। হাইকোর্টের রায় আম্বেদকরের পক্ষে যায়। এছাড়াও নাসিকের প্রসিদ্ধ কালারাম মন্দিরে অস্পৃশ্যদের প্রবেশের অধিকার অর্জন করান। এরপর ১৯৩৫ সালে তিনি ঘোষণা করেন অস্পৃশ্যরাহিদু ধর্ম পরিত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করবে। কারণ হিন্দু সমাজে কখনোই তারা সমানাধিকার পাবে না। প্রথমে তিনি শিখ ধর্মেরদিকে আকৃষ্ঠ হলেও শিখদের সাথে সম্পর্ক টেকেনি। ১৯৫৬ সালে তিনি নাগপুরে লক্ষ লক্ষ অনুগামীসহ বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং হাজারো অস্পৃশ্যদের থেরবাদী বৌদ্ধ ধর্ম (Theravada Buddhism) স্ফুলিঙ্গের মতো রূপান্তরিত করে সম্মানিত হয়েছিলেন।


আম্বেদকরছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি বিদেশে ইকোনোমিকস- এ ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের প্রথম ইকোনোমিক এ পিএইচডি ডিগ্রি, এবং প্রথম দুবার ইকোনোমিক্স এ ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন ভারত বর্ষের প্রথম আইন মন্ত্রী। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় পৃথিবীর ১০০ পন্ডিতের মধ্যে ইনি আছেন। সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে প্রথম এবং সুদু মাত্র ইনিই যে অর্জন করেছে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস থেকে সমস্ত বিজ্ঞান বিষয়ের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি।১৯৯০ সালে মরণোত্তর (Posthumous) “ভারতরত্ন” - ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় উপাধি'তে ভূষিত করা হয়।

প্রিয় পাঠক–পাঠিকা ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। যে কোনো বিষয়ে জানা- অজানা তথ্য আমাদের সাথে আপনিও শেয়ার করতে পারেন।১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে ছবি সহ মেল করুন  wonderlandcity.net@gmail.com ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

No comments:

Post a Comment