12 March 2019

আজ ১২রা মার্চ, বিশিষ্ট বাঙালি পন্ডিত, প্রবন্ধকার, গবেষক, সংগ্রাহক এবং শিক্ষক ক্ষিতিমোহন সেনের ৫৯তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ক্ষিতিমোহন সেন ১৮৮০ সালের ২রা ডিসেম্বর কাশীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল ঢাকার বিক্রমপুরে। তাঁর পিতা ভুবনমোহন সেন পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন তাঁর দৌহিত্র।

ক্ষিতিমোহন কাশীর কুইন্স কলেজ থেকে সংস্কৃতে এমএ পাস করে চম্বারাজ্যের শিক্ষাবিভাগে যোগ দেন। ১৯০৮ সালে রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে বিশ্বভারতীর ব্রহ্মাচর্যাশ্রমে যোগদান করেন ও বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষরূপে কর্মজীবন শেষ করেন। ব্রহ্মচর্যাশ্রম থেকে বিশ্বভারতী এই দীর্ঘ জটিল পথ পরিক্রমায় ক্ষিতিমোহন ছিলেন রবীন্দ্রনাথের অন্যতম প্রধান সহযোগী। ক্ষিতিমোহন রবীন্দ্রনাথের সফরসঙ্গী হয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে যান ও ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথের চিন ভ্রমণের সহযাত্রী ছিলেন।

মধ্যযুগের সন্তদের বাণী, বাংলার বাউল সঙ্গীত সম্পর্কে তিনি ব্যাপক অনুসন্ধান, গবেষণা ও গ্রন্থাদি রচনা করেন। তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছরের চেষ্টার ফলে সংগৃহীত বিষয়গুলি কয়েকটি বইতে প্রকাশ করেন। তিনি হিন্দি ও গুজরাতি ভাষায়ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। বেদ, উপনিষদ, তন্ত্র ও স্মৃতিশাস্ত্রে ক্ষিতিমোহনের পান্ডিত্য ছিল বিস্ময়কর। অভিনয়,সঙ্গীতশাস্ত্র এবং আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও তাঁর ভাল দখল ছিল।

ক্ষিতিমোহন সেনের কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কবীর, ভারতীয় মধ্যযুগের সাধনার ধারা, ভারতের সংস্কৃতি, বাংলার সাধনা ইত্যাদি। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ক্ষিতিমোহন ১৯৫২ সালে বিশ্বভারতীর প্রথম দেশিকোত্তম উপাধি এবং হিন্দি চর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বভারতীয় সম্মান লাভ করেন।

ক্ষিতিমোহন সেন ১৯৬০ সালের ১২ই মার্চ পরলোকগমন করেন।

প্রিয় পাঠক–পাঠিকা ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। যে কোনো বিষয়ে জানা- অজানা তথ্য আমাদের সাথে আপনিও শেয়ার করতে পারেন।১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে ছবি সহ মেইল করুন  wonderlandcity.net@gmail.com ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

No comments:

Post a Comment