03 March 2019

আজ ৩রা মার্চ ভাষাচার্য ডঃ সুকুমার সেনের ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।


ভাষাচার্য ডঃ সুকুমার সেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুখ্যাত। ভাষাতত্ত্ব ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ে ছিল তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। আজ এই মনীষীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।

ভাষাচার্য ডঃ সুকুমার সেনের জন্ম ১৯০০ সালের ১৬ই জানুয়ারি কলকাতায়। বর্ধমান জেলার গোতান গ্রামে ছিল তাঁদের পৈতৃক নিবাস। গোতান গ্রাম থেকেই সুকুমার সেনের পড়াশোনার শুরু। ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  প্রথম স্থান পেয়ে সংস্কৃতে এম.এ করেন। তাঁর পিএইচ.ডি গবেষণার বিষয় ছিল ‘হিস্ট্রিক্যাল সিনট্যাক্স অব ইন্দো–আরিয়ান’।

বাংলা শব্দের উৎস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সুকুমার সেন সংস্কৃত বা বৈদিক ভাষার অনুসন্ধান করে বাংলা ভাষা চর্চার বিষয়ে তিনি মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন। ভাষাবিজ্ঞানের চর্চাকে সমৃদ্ধ করার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।

সুকুমার সেন ১৯৭১ সালে দু খন্ডে ২০,০০০ বাংলা শব্দের অভিধান রচনা করেন। এই অভিধানে তিনি প্রতিটি বাংলা শব্দের উৎস এবং বিবর্তন দেখিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণরূপে ঐতিহাসিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় রেখেছেন। তিনি অনুরূপ চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন "বাংলার স্থান নাম" গ্রন্থটিতে। এখানে তিনি দেখিয়েছেন কোন শব্দ থেকে বাংলায় ব্যবহৃত কোন নামের উৎপত্তি হয়েছে এবং সেই সঙ্গে দেখিয়েছেন ঐতিহাসিক বিবর্তনের ধারায় কি ভাবে শব্দগুলো বর্তমান রূপ নিয়েছে। তিনি তাঁর অন্য গ্রন্থটিতে প্রাচীন ভারতীয় আর্য, বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষার জন্মবৃত্তান্ত অলোচনা করেছেন। "বাঙ্গালীর ভাষা" গ্রন্থটিতে সুকুমার সেন ও সুভদ্র সেন খুব সহজ সরল ভাষায় বাংলা ভাষার ইতিহাস তুলে ধরেছেন। জয়দেবের গীতগোবিন্দ কাব্যের প্রাচীন পুঁথিটি তাঁরই আবিষ্কার। সেকশুভোদয়া পুঁথিটিও তিনি সম্পাদনা করেছেন। ১৯৬৪ সালে ভারতীয় সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার পান। এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে যদুনাথ সরকার পদক দিয়ে সম্মানিত করে। রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র থেকে পান ররীন্দ্র তত্ত্বাচার্য উপাধি।
ডঃ সুকুমার সেন ৩রা মার্চ ১৯৯২ সালে পরলোক গমন করেন।

প্রিয় পাঠক–পাঠিকা ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। যে কোনো বিষয়ে জানা- অজানা তথ্য আমাদের সাথে আপনিও শেয়ার করতে পারেন।১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে ছবি সহ মেইল করুন  wonderlandcity.net@gmail.com ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

No comments:

Post a Comment